Obsah:
- ১. করোনাভাইরাস আসলে ঠিক কি?
- ২. কিভাবে ছড়ায় করোনাভাইরাস?
- ৩. এই ভাইরাসের লক্ষণ কতদিনে দেখা যায়?
- ৪. কোভিড -১৯ এর উপসর্গ কি কি?
- ৫. কি করে কোভিড -১৯ চিহ্নিত করা হয়?
- ৬. করোনাভাইরাস থেকে কি করে বাঁচবেন?
- ৭. এবার জানুন ভালোভাবে হাত ধোওয়ার উপায়
- ৮. এই রোগে আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে এলে কি কি সতর্কতা বজায় রাখা উচিত?
- ৯. বর্তমানে, করোনাভাইরাসের কি চিকিৎসা সম্ভব?
- ১০. কোভিড -১৯ থেকে সুস্থ হতে কত সময় লাগে?
- ১১. গরম বা তাপের জন্য করোনাভাইরাস কি নষ্ট হতে পারে?
- ১২. মাস্ক কি আপনাকে করোনাভাইরাসের থেকে বাঁচাতে পারবে?
- ১৩. সঠিকভাবে মাস্ক পড়ার নিয়মাবলী
- ১৪. বর্তমানে কোভিড -১৯ এ মৃতের সংখ্যা কত?
- ১৫. শিশুদের ক্ষেত্রে কি কোভিড -১৯ আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ?
- ১৬. কোন বয়সের ব্যক্তির এই রোগের ঝুঁকি বেশি?
- ১৭. এবার জেনে নিন কোভিড -১৯ এর ক্ষেত্রে কে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ
- তথ্য সূত্র:
শুধুমাত্র ভারতবর্ষ নয় গোটা পৃথিবী এখন একটাই রোগে আক্রান্ত - করোনাভাইরাস, যা এখন বিশ্ববাসীর কাছে কোভিড -১৯ নামেও পরিচিত। ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এই রোগটিকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করেছে। এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রায় ১৯৭ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ এবং ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন (১)।
পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়েছে যে ভারতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ১৪ ই এপ্রিল পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় সরকার কড়া নির্দেশ দিয়েছে প্রত্যেককে বাড়িতে থাকার জন্য। এই সময়ে প্রয়োজন মানুষের গুজবে কান না দেওয়া। তাই আমাদের এই প্রবন্ধে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নানা তথ্য তুলে ধরা হলো।
১. করোনাভাইরাস আসলে ঠিক কি?
এটি হলো এমন একটি ধরণের ভাইরাস যা সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে মানুষের দেহে মূলত ফুসফুসকে মারাত্মক ভাবে সংক্রামিত করতে পারে। সাধারণত দুধরণের সমস্যা দেখা যায় এক্ষেত্রে, যেমন - মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (Middle East Respiratory Syndrome - MERS-CoV) ও সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (Severe Acute Respiratory Syndrome-SAR-CoV)।
এতদিন করোনাভাইরাসের ছটি প্রজাতি মানুষের দেহে সংক্রামিত হতে পারে বলে জানা যেত, তবে সেই সংখ্যা এখন থেকে হবে সাতটি। এই সপ্তম নামটি হলো সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম করোনাভাইরাস ২ (SARS-CoV-2), যা ২০১৯ সালের শেষের দিকে প্রথমবার চীনের উহান শহরে দেখা দিয়েছিল (২)।
করোনাভাইরাস মানুষ ও পশু দুজনেরই দেহেই সংক্রামিত হতে পারে। যেমন মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোমটি (MERS-CoV) প্রথম উটের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় (৩)।
২. কিভাবে ছড়ায় করোনাভাইরাস?
করোনা ভাইরাস হলো এককথায় সংক্রামক। এই ভাইরাস কিভাবে ছড়িয়ে পড়ে আসুন জেনেনি।
- মূলত এই ভাইরাস সংক্রামিত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে (৪)।
- একজন সুস্থ ব্যক্তি আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হতে পারেন।
- কোনো আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত কোনো জিনিস যদি কোনো সুস্থ ব্যক্তির সংস্পর্শে আসে, তাহলে তারও সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে যে,
প্র: কেউ সংক্রামিত হয়েছে কিন্তু কোনো লক্ষণ নেই তার মধ্যে, তিনিও কি এই ভাইরাস ছড়াতে পারেন?
উঃ হ্যাঁ, অবশ্যই পারেন। এরকম অনেক ক্ষেত্রেই ঘটেছে বলে জানা গেছে। ঐ লক্ষণবিহীন সংক্রামিত ব্যক্তিটি হলেন ভাইরাসটির বাহক (Nosič), যার ফলে তার মধ্যে কোনো লক্ষণ না থাকলেও অন্য মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়াতেই পারে।
প্র: আমিষ জাতীয় খাদ্য থেকে কি এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে?
উ: এখনও পর্যন্ত কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এই ধরণের তথ্য পাওয়া যায়নি।
মনে রাখবেন, কোরোনা ভাইরাস শুধুমাত্র এক ব্যক্তির থেকে অন্য ব্যক্তির নয়, এক গোষ্ঠী থেকে অন্য গোষ্ঠীতেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম।
৩. এই ভাইরাসের লক্ষণ কতদিনে দেখা যায়?
এর লক্ষণ ২ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে দেখা দিতে পারে (৫)।
৪. কোভিড -১৯ এর উপসর্গ কি কি?
এখনও পর্যন্ত এই রোগের যেসব লক্ষণগুলি দেখা গেছে সেগুলি সবই জ্বর-সংক্রান্ত। কোনো সুস্থ ব্যক্তি কোনো আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার ২ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে যেসব লক্ষণগুলি প্রকাশ পেতে পারে, সেগুলি হলো (৬) (৭) -
- জ্বর
- কাশি
- শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট
- অকারণে ক্লান্তি অনুভব করা
- কোনো ব্যক্তির অবস্থা সঙ্কটজনক হলে নিউমোনিয়ার উপসর্গও দেখা দিতে পারে অর্থাৎ শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে খুবই কষ্ট অনুভব করতে পারেন।
মনে রাখবেন, এইসব উল্লেখিত উপসর্গ যদি দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ করুন এবং কোনো ব্যক্তি আন্তর্জাতিক ভ্রমণ বা কোনো কোভিড - ১৯ জায়গা থেকে এসেছেন তাহলেও ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে ভুলবেন না কিন্তু।
Shutterstock
৫. কি করে কোভিড -১৯ চিহ্নিত করা হয়?
হাসপাতাল বা ল্যাবে একাধিক পরীক্ষা করে তবেই করোনাভাইরাস চিহ্নিত করা সম্ভব। যেমন-
- সোয়াব টেস্ট অর্থাৎ এই পরীক্ষায় একটি তুলোর বল আক্রান্তের গলা ও নাকের মধ্যে রেখে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তারপরে সেটা পরীক্ষা করা হয়।
- ন্যাজাল টেস্ট অর্থাৎ স্যালাইনের মাধ্যমে একটি রাসায়নিক নাকের ভেতরে প্রবেশ করানো হয়, তারপর ইনজেকশনের মাধ্যমে নাকের মধ্য থেকে সেটি বের করে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।
- শ্বাসনালী পরীক্ষা অর্থাৎ এতে একটি সুরু টিউবের মত নল নেওয়া হয় যা ফুসফুসের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
- থুতু পরীক্ষা অর্থাৎ উপসর্গ থাকলে সেই ব্যক্তির থুতু পরীক্ষার জন্য নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।
- রক্ত পরীক্ষা অর্থাৎ এক্ষেত্রে রোগীর রক্ত সংগ্রহ করা হয় নমুনা হিসাবে।
৬. করোনাভাইরাস থেকে কি করে বাঁচবেন?
সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (Centra pro kontrolu a prevenci nemocí) অনুযায়ী, কোভিড -১৯ কে প্রতিরোধ করার কিছু নিয়মাবলী আছে (৮)। যেমন -
- কিছু সময় পর পর অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে, বিষেশত হাঁচি-কাশির পর, খাওয়ার আগে, বাথরুম ব্যবহার করার পর ও কোনো পোষ্যকে হাত দেওয়ার পর।
- অ্যালকোহল যুক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন, যাতে অন্তত ৬০% অ্যালকোহল থাকবে।
- অযথা অপরিষ্কার হাত মুখে, চোখে ও নাকে দেবেন না।
- বাইরে থেকে আসার পর নিজের হাত, পা ও মুখ ভালো করে ধুয়ে নেবেন।
- যে কোনো ব্যক্তির থেকে অন্তত ৬ ফিট দূরত্ব বজায় রাখা উচিত।
- যতটা সম্ভব বাইরে কম যান। ভিড় এড়িয়ে চলুন।
- রুমাল বা টিস্যু পেপার দিয়ে মুখ ঢাকুন হাঁচি-কাশির সময়ে এবং ব্যবহার করার পর সেটি ফেলে দিন।
- আপনার ব্যবহৃত জিনিসপত্র পরিষ্কার রাখুন ও নিয়মিত অ্যান্টিসেপ্টিক লিকুইড ব্যবহার করুন।
- রান্না করার আগে কাঁচা শাক-সবজি ও মাছ-মাংস ভালো ভাবে ধুয়ে নিন। মাছ-মাংসের জন্য অন্য পাত্র ব্যবহার করুন।
মনে রাখবেন,
যদি আপনি কোনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশ বা রাজ্য থেকে এসেছেন,
- তাহলে অবশ্যই ১৫ দিন বাড়িতে থাকুন।
- গণ পরিবহনে কখনই উঠবেন না।
- যদি এই রোগের কোনোরকম উপসর্গ দেখা যায়, শীঘ্রই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
৭. এবার জানুন ভালোভাবে হাত ধোওয়ার উপায়
সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (Centra pro kontrolu a prevenci nemocí) অনুযায়ী, নিয়মিত সঠিকভাবে হাত পরিষ্কার করলে অনেক ধরণের রোগের থেকে বাঁচা সম্ভব (৯)। চলুন জেনে নেওয়া যাক সঠিকভাবে হাত ধোয়ার পদ্ধতি -
- প্রথমে জল দিয়ে হাত ভিজিয়ে নিন।
- তারপরে হাতে সাবান দিয়ে ভালো করে হাতের তালু, আঙুল, আঙুলের ফাঁক, নখের নিচ এমনকি কবজি পর্যন্ত ঘষে ঘষে পরিষ্কার করুন।
- ভালোভাবে স্ক্রাবিং করুন।
- এরপরে উষ্ণ গরম জল দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।
- তারপরে একটি পরিষ্কার গামছা বা তোয়ালে দিয়ে হাত মুছে ফেলুন।
৮. এই রোগে আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে এলে কি কি সতর্কতা বজায় রাখা উচিত?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ও সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (Centra pro kontrolu a prevenci nemocí) অনুযায়ী, আপনি যদি কোনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসেন তাহলে যেসব সতর্কতা মেনে চলা উচিত (১০) (১১), সেগুলি হল -
- নিজের শরীরের ওপর নজর রাখুন।
- শরীর স্বাস্থ্যের কোনো পরিবর্তন হলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
- এই সময়ে বাড়ির অন্য সদস্যদের থেকে দুরত্ব বজায় রাখুন এবং অন্য ঘরে থাকার ব্যবস্থা করুন।
- বাড়িতে কোনো বাইরের লোককে ঢুকতে বাধা দিন।
- সম্ভাব্য রোগীর থেকে বাড়ির পোষ্যকে দূরে রাখুন।
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
- মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করুন।
- নিয়মিত বিছানার চাদর থেকে শুরু করে বালিশের কভার বদলান।
মনে রাখবেন, অবশ্যই এই রকম পরিস্থিতিতে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।
৯. বর্তমানে, করোনাভাইরাসের কি চিকিৎসা সম্ভব?
সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (Centra pro kontrolu a prevenci nemocí) অনুযায়ী, এই রোগের কোনো নির্ধারিত চিকিৎসা এখনও নেই। তাই যাদের কোভিড -১৯ এর অল্প কিছু উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তাদের সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
আর এইসব রোগীকে (৮),
- দ্রুত সমাজের অন্য মানুষের থেকে দূরে সরাতে হবে।
- অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক হলে ভেন্টিলেটরের (কৃত্তিম শ্বাসযন্ত্র) সাহায্য নিতে হবে।
১০. কোভিড -১৯ থেকে সুস্থ হতে কত সময় লাগে?
এই রোগ থেকে সেরে উঠতে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ সময় লাগে। তবে এটি নির্ভর করে আক্রান্ত
ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর। নিউমোনিয়া থাকলে সেই ব্যক্তির সুস্থ হতে আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগতে পারে। কিন্তু রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক হলে তার সুস্থ হতে কিছু মাসও লাগতে পারে আবার সেই ব্যক্তির মৃত্যও হতে পারে।
১১. গরম বা তাপের জন্য করোনাভাইরাস কি নষ্ট হতে পারে?
কিছু কিছু গবেষকের মতে, গরমের প্রভাবে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কম হতে পারে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই সম্বন্ধে কোনো যথাযত তথ্য পাওয়া যায়নি (১২)।
১২. মাস্ক কি আপনাকে করোনাভাইরাসের থেকে বাঁচাতে পারবে?
সিডিসি বা CDC (Centers for Disease Control and Prevention) কখনোই কোনো সুস্থ ব্যক্তিকে মাস্ক পড়ার কথা বলেনি। আপনি যদি আক্রান্ত না হন, তাহলে মাস্ক পড়ার প্রয়োজন নেই। যদি আপনার এই রোগের যে কোনো উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে। এই মাস্ক পড়ার মূল উদ্দেশ্য হল এই রোগকে সমাজের সুস্থ লোকের মধ্যে ছড়িয়ে না দেওয়া।
১৩. সঠিকভাবে মাস্ক পড়ার নিয়মাবলী
- প্রথমে নিজের হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
- এরপর আরও পরিছন্নতা বজায় রাখতে অ্যালকোহল যুক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন।
- এবার মাস্কের সাহায্যে নিজের নাক ও মুখ ঢেকে নিন।
- মনে রাখবেন, নিজের মুখ ও মাস্কের মধ্যে যেন কোনো ফাঁক না থাকে।
১৪. বর্তমানে কোভিড -১৯ এ মৃতের সংখ্যা কত?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুযায়ী, ২৬ শে মার্চ, ২০২০ পর্যন্ত সারা বিশ্বে মোট ১৮,৫৮৯ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এই মারণ রোগে (১)।
১৫. শিশুদের ক্ষেত্রে কি কোভিড -১৯ আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ?
এখনও পর্যন্ত এই ধরণের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি (১৩)। বেশিরভাগ মধ্যবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে এই রোগের প্রকোপ দেখা গেছে। তবে বাচ্চাদের যেহেতু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাই সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন।
১৬. কোন বয়সের ব্যক্তির এই রোগের ঝুঁকি বেশি?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, মধ্যবয়স্কদের ক্ষেত্রে কোভিড -১৯ এর ঝুঁকি বেশি (১৪)।
১৭. এবার জেনে নিন কোভিড -১৯ এর ক্ষেত্রে কে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ
- খুবই ঝুঁকিপূর্ণ (vysoké riziko) - আপনি যদি সম্প্রতি চীন, ইরাক, ইতালি বা কোনো আক্রান্ত দেশের থেকে ঘুরে এসেছেন, তবে আপনাকে এই আওতায় ফেলা হবে।
- মাঝামাঝি ঝুঁকিপূর্ণ (střední riziko) - যারা কম আক্রান্ত দেশগুলি থেকে ঘুরে এসেছেন।
- কম ঝুঁকিপূর্ণ (nízké riziko) - ১০ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটি অতটা ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
যদি আপনি এখানে আলোচিত কোনো উপসর্গ নিজের মধ্যে দেখতে পারছেন, তাহলে সময় নষ্ট না করে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। সমাজের মানুষের সচেতনতার মাধ্যমেই আমরা এই কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন, সুস্থ থাকুন।
তথ্য সূত্র:
Stylecraze má přísné pokyny pro zajišťování zdrojů a spoléhá se na peer-reviewed studie, akademické výzkumné instituce a lékařské asociace. Vyhýbáme se použití terciárních odkazů. Další informace o tom, jak zajišťujeme přesnost a aktuálnost našeho obsahu, najdete v našich redakčních zásadách.- Koronavirová nemoc (COVID-19) Pandemická
www.who.int/emergencies/diseases/novel-coronavirus-2019
- Nový koronavirus od pacientů s pneumonií v Číně, 2019 -
- Koronavirus
www.who.int/health-topics/coronavirus#tab=tab_1
- Jak se šíří koronaviry
www.cdc.gov/coronavirus/2019-ncov/prepare/transmission.html?CDC_AA_refVal=https%3A%2F%2Fwww.cdc.gov%2Fcoronavirus%2F2019-ncov%2Fabout%2Ftransmission.html
- Inkubační doba a další epidemiologické charakteristiky nových koronavirových infekcí se správným zkrácením v roce 2019: Statistická analýza veřejně dostupných údajů o případech -
www.cdc.gov/coronavirus/2019-ncov/prepare/transmission.html?CDC_AA_refVal=https% 3A% 2F% 2Fwww.cdc.gov% 2Fcoronavirus% 2F2019-ncov% 2Fa% 2Ftransmission.html
- Příznaky koronaviru
www.cdc.gov/coronavirus/2019-ncov/symptoms-testing/symptoms.html
- Klinické charakteristiky 140 pacientů infikovaných SARS-CoV-2 ve Wu-chanu v Číně -
pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/32077115/
- Jak se chránit
www.cdc.gov/coronavirus/2019-ncov/prepare/prevention.html?CDC_AA_refVal=https%3A%2F%2Fwww.cdc.gov%2Fcoronavirus%2F2019-ncov%2Fabout%2Fprevention. html
- Kdy a jak si umýt ruce
www.cdc.gov/handwashing/when-how-handwashing.html
- Prozatímní pokyny pro provádění domácí péče o lidi, kteří nevyžadují hospitalizaci pro koronavirovou chorobu 2019 (COVID-19) -
www.cdc.gov/coronavirus/2019-ncov/hcp/guidance-home-care.html
- Doporučení pro veřejnost týkající se koronavirové choroby (COVID-19) -
www.who.int/emergencies/diseases/novel-coronavirus-2019/advice-for-public
- Zabije teplo koronavirus?
www.sciencedirect.com/science/article/pii/S0262407920303778
- Cororavirus disease 2019 -
www.cdc.gov/coronavirus/2019-ncov/faq.html?CDC_AA_refVal=https%3A%2F%2Fwww.cdc.gov%2Fcoronavirus%2F2019-ncov%2Fprepare%2Fchildren-faq. html
- Situace nových koronavirů (2019-nCoV)
www.who.int/docs/default-source/coronaviruse/situation-reports/20200127-sitrep-7-2019–ncov.pdf